Bangladesh Students' Association in Turkey BASAT

বাসাত-এর প্রোডাক্টিভ রমাদান প্রোগ্রাম

Bangladesh Students’ Association in Turkey – BASAT কর্তৃক আয়োজিত 𝗣𝗿𝗼𝗱𝘂𝗰𝘁𝗶𝘃𝗲 𝗥𝗮𝗺𝗮𝗱𝗮𝗻 প্রোগ্রামে উপস্থিতির একাংশ।

উক্ত প্রোগ্রামে মাহে রমাদানের প্রত্যেকটি মুহুর্তকে কিভাবে কাজ লাগানো যায় এই সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা পেশ করেন বাংলাদেশের অন্যতম সুপরিচিত ইসলামী বক্তা মাওলানা এম হাসিবুর রহমান। আলোচনায় ১৫ টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট তুলে ধরেছেন তিনি, সেগুলো হচ্ছেঃ

১. ’এই রমাদানই আমাদের জীবনের শেষ রমাদান হতে পারে, হয়তোবা আগামী বছর আর রমাদান নাও পেতে পারি’- এই অনুভূতি অন্তরে ধারণ করে সে অনুযায়ী প্রত্যেকটি মুহূর্তকে কাজে লাগানোর পণ করা।

২. জামায়াতের সহিত নামায আদায় করা, যেন এক ওয়াক্ত নামাযেও জামায়াত মিস না হয়।

৩. সাহুরের আগে অবশ্যই তাহাজ্জুদের জন্য কিছু সময় নির্ধারণ করা এবং এর মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের পথে আরো এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া।

৪. সাহুরের খাবার সুন্নাতী নিয়মে খাওয়া। এক্ষেত্রে খেজুর খাওয়া যেতে পারে যা আমাদের সারাদিনের সিয়ামের জন্য অত্যন্ত উপকারী হবে এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও সাহুরে খেজুর খেতেন।

৫. Proper Fasting এর চেষ্টা করতে হবে। রোযা রেখে নাটক দেখা, গান-বাজনা করা, অশ্লীল কথা বলা ও শোনা, মিথ্যা বলা সহ যত রকমের অশ্লীলতা রয়েছে, সবকিছু থেকে বিরত থাকার মাধ্যমেই Proper Fasting করা সম্ভব। সিয়াম শুধুমাত্র আল্লাহ’র জন্য। কিন্তু একদিক থেকে অশ্লীলতা ও অসৎ কাজ চালিয়ে যাওয়া, অন্যদিক থেকে উপোস থাকার নাম সিয়াম নয় এবং আল্লাহ রাব্বুল আলামীনেরও তাঁর বান্দার কাছ থেকে এমন সিয়ামের প্রয়োজন নেই। এছাড়া রমাদানে সিয়ামরত অবস্থায় সোস্যাল মিডিয়া সহ অন্য যেকোনো প্রযুক্তি থেকে দূরে থাকা উচিত।

৬. রমাদান কুরআনের মাস। তাই রমাদানে অন্ততঃ একবার পবিত্র কুরআনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অর্থসহ তিলাওয়াত করা। এক্ষেত্রে দৈনিক প্রতি ওয়াক্তের নামাযের পর মাত্র ৪ পৃষ্ঠা করে তিলাওয়াত করলে প্রতিদিন ১ পারা কুরআন তিলাওয়াত করা সম্ভব।

৭. সর্বক্ষণ ইসতিগফার “আস্তাগফিরুল্লাহ” ঠোঁটস্থ রাখা। অবসর সময়ে বেশি বেশি ইসতিগফার করা।

৮. সুন্নাতী পন্থায়, পরিমিত ও স্বাস্থ্যকর খাবার দ্বারা ইফতার করা।

৯. অসহায়দেরকে ইফতার করানো।

১০. প্রতিদিন কোনো না কোনোভাবে স্বল্প পরিমাণে হলেও সদকা করা। মা-বোনেরা এক্ষেত্রে একটি বাক্সে দৈনিক সদকার টাকা জমা করতে পারেন, পরবর্তীতে একসাথে দান করে দিতে পারবেন।

১১. তারাবীহ এর নামায যথাযথ গুরুত্ব সহকারে আদায় করা।

১২. নফল নামাযের প্রতি যত্নবান হওয়া। কারণ, রমাদান মাসে নফলের সাওয়াব ফরজের মত গণ্য হয়।

১৩. রমাদানের শেষ দশকের জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণ করা। ঈদের কেনাকাটা সহ যাবতীয় দুনিয়াবী কাজ ২০তম রমাদানের আগেই শেষ করতে হবে, যাতে রমাদানের সবচাইতে বরকতপূর্ণ শেষ দশককে যথাযথভাবে কাজে লাগানো যায়।

১৪. লাইলাতুল কদর’কে রমাদানের শেষ দশকের বিজোড় রাত্রিগুলোতে তালাশ করা। রমাদানের শেষ দশকের বিজোড় রাত্রিগুলোতে দরকার হলে না ঘুমিয়ে যথাযথভাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করা।

১৫. সম্ভব হলে ই’তিকাফ করা। কারণ, লাইলাতুল কদর’কে কাজে লাগানোর সবচাইতে কার্যকরী উপায় এটি।

উপরোক্ত ১৫ টি কাজকে রমাদানে আমাদের দৈনন্দিন রুটিনে পরিণত করতে পারলে আশা করা যায় রমাদানকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারব, ইন শা আল্লাহ।

পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া উক্ত অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন বাসাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট সাইয়েদ মাগফুর আহমেদ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাসাতের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. মুমিন সহ এক্সিকিউটিভ, সেক্রেটারিয়েট কমিটির সদস্যরা সহ প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ। সুন্দর এই অনুষ্ঠানে সকলের সদয় উপস্থিতির জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন বাসাতের প্রেসিডেন্ট ওমর ফারুক হেলালী।

শ্রুতিলিখনঃ আব্দুর রহমান তাওফির

বাসাত সহকারী অফিস সেক্রেটারী

For a full recap of today’s event, including more photos and highlights, visit our Facebook post. Stay connected with BASAT for future events and updates by following us on all our social media platforms: Facebook, Instagram, and X(Twitter).

Share this post

Designed by Alamin Moni

Copyright© BASAT 2019-2020

error: Content is protected !!